জ্বীন আছরের বিভিন্ন ধরণ হতে পারে । জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগী চিল্লাপাল্লা বা উদ্ভট আচরণ করবে বিষয়টি সবসময় এমন নাও হতে পারে । চিল্লাপাল্লা বা উদ্ভট আচরণ করা জ্বিন আক্রান্তের একটি ধরণ ও লক্ষণ মাত্র । এমনও হতে পারে যে, কেহ জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত কিন্তু বাহ্যিক কোন সমস্যা পরিলক্ষিত না হওয়ায় তার পরিবার বা আশ-পাশের মানুষ তো দূরের কথা! বিষয়টি সে নিজেই উপলব্ধি করতে পারছেনা । অথচ ভিতরে ভিতরে এ কারণে তার শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, পারিবারিকসহ বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে ।
জ্বিন জগত বিষয়ক কম জ্ঞান থাকায় সাধারণ মানুষ এগুলোর সাথে জ্বিনে আক্রান্ত হওয়ার কানেকশন খুঁজে পায়না । অথচ শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, পারিবারিকসহ পৃথিবীতে এমন কোন সমস্যা বা রোগ-ব্যাধি নেই যা জ্বিনদের কারণে ঘটা সম্ভব নয় । তবে তার মানে এই নয় যে, এ সকল সমস্যা জ্বিনদের কারনেই ঘটে । বরং এ সকল সমস্যা বা রোগ সৃস্টি হওয়ার যতগুলো কারণ থাকতে পারে ‘জ্বিনে আক্রান্ত হওয়াও তার মধ্যে একটি’ ।
এমন বহুবার হয়েছে যে, রোগীর সাথে আসা এটেনডেন্ট রোগীর উদ্দেশ্যে করা তিলাওয়াত শুনেই পজেসড হয়ে গিয়েছে এবং অল্প কিছুক্ষণ তিলাওয়াত করতেই তার জ্বীন হাজির হয়ে গিয়েছে। অথচ সে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি যে, সে জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত। বরং সে এসেছিল অন্যজনকে ট্রিটমেন্ট করাতে।
অতএব, যেকোনো রোগ বা সমস্যায় যখন দেখবেন— বাহ্যিক উপকরণে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না, প্রোপার ট্রিটমেন্টে রোগ ভালো হচ্ছে না, বা প্রোপার পদক্ষেপে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, তখন প্রথমে জ্বীন, যাদু, বদনজর ইত্যাদির লক্ষণগুলো নিজের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। ৬০%/৭০% লক্ষণ নিজের সাথে মিলে গেলে এবার তা নিয়ে একটু পড়াশোনা ও ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করবেন। এবং নিজে নিজেই প্রাথমিক কিছু আমল শুরু করে দিবেন। অথবা একজন অভিজ্ঞ আলেম রাক্বীর শরণাপন্ন হয়ে তার ‘কনসালটেন্সি’ নিবেন। এরপরে ওনার পরামর্শ অনুযায়ী ‘সেলফ রুকইয়াহ’ করবেন। পরবর্তীতে সমস্যা বেড়ে গেলে বা আপনার অবস্থা বিবেচনায় আপনার ‘রাক্বী’ সরাসরি ‘রুকইয়াহ ট্রিটমেন্ট সেশন’ নেয়ার পরামর্শ দিলে তখন তার কাছে রুকইয়াহ করবেন।
জ্বীন, যাদু, বদনজর, বিচ্ছেদের যাদু, বিবাহ বন্ধের যাদু, আশিক জ্বীন ইত্যাদি বিভিন্ন প্যারানরমাল সমস্যার লক্ষণগুলো জানতে নিম্নে প্রদত্ত লিংকটিতে ভিজিট করুন ।