জ্বিনের আছরের লক্ষণগুলো দুইভাবে বিভক্ত-
১) নিদ্রাবস্থার লক্ষণ
২) জাগ্রত অবস্থার লক্ষণ
নিদ্রাবস্থার লক্ষণসমূহঃ
(‘বিকায়াতুল ইনসান মিনাল জিন্নি ওয়াশ শায়ত্বান’ কিতাব থেকে থেকে অনুবাদিত ।)
সংযুক্ত-
জাগ্রত অবস্থার লক্ষণসমূহঃ
১) সর্বদা মাথাব্যাথাঃ চোখ, নাক, কান, দাত, গলা অথবা পাকস্থলীর কোনো সমস্যা ছাড়াই সর্বদা মাথাব্যাথা । যা ঔষধ খেয়েও নিরাময় হয়না ।
২) ইবাদাত বিমুখতাঃ যিকর, নামায এবং অনন্য ইবাদাতের আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাওয়া ।
৩) বিভিন্ন রকমের মানসিক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া।
৪) প্রচণ্ড শারীরিক দূর্বলতা এবং অলসতা ।
৫) মৃগীরোগ ।
৬) ডাক্তারি চিকিৎসায় কোন সমস্যা খুঁজে না পাওয়া সত্বেও শরীরের কোন অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া বা প্রায় সময়ই ব্যাথা থাকা । (‘বিকায়াতুল ইনসান মিনাল জিন্নি ওয়াশ শায়ত্বান’ থেকে অনুবাদিত ।)
সংযুক্ত-
৭) সর্বদা মেজাজ বিগড়ে থাকা; কোনো কিছুতেই মন না বসা।
৮) অকারণে কান্নাকাটি করা ।
৯) যখন-তখন রেগে যাওয়া।
১০) অস্বাভাবিক আচরণ করা।
১১) খারাপ আচরণ করতে না চাওয়া সত্ত্বেও ব্রেনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খারাপ আচরণ প্রকাশ পাওয়া ।
১২) হঠাৎই অজ্ঞান বা বেহুশ হয়ে যাওয়া।
১৩) শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া।
১৪) দাঁতে-দাঁতে খিল লেগে যাওয়া।
(১৫) মুখ থেকে ফেনা বের হওয়া ।
১৬) চেহারার রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ৷
১৭) কেহ ডাকছে এমনটা মনে হওয়া, অথচ আশপাশে কাউকেই খুঁজে না পাওয়া যায়না ।
১৮) সবার মাঝে থেকেও কারো কথা শুনতে পাওয়া যা পাশের লোকও শুনেনা ।
১৯) হ্যালুসিনেশন অর্থ্যাৎ জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্নের মত বিভিন্ন কিছু দেখতে পাওয়া যা পাশের লোকজন দেখতে পায়না ।
২০) একাকী ও নির্জনে থাকতে পছন্দ করা ।
২১) সব সময় ভীতু ভীতু একটা ভাব থাকা ।
২২) হঠাৎ করে ভিন্ন ভাষায় বা ভিন্ন ভঙ্গিতে কথা বলা ।
২৩) অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাজ-সজ্জা পছন্দ করতে শুরু করা । বা ধর্মীয় কোনো রীতি-নীতি প্রকাশ পাওয়া । (যে ধর্মের রীতি-নীতি প্রকাশ পাবে, বুঝতে হবে সে ধর্মের জিন আছর করেছে । যেমন, উলুধ্বনি দেওয়া হিন্দু জিন আছরের লক্ষণ ।)
২৪) সন্তানকে বুকের দুধ খেতে না দেয়া বা সন্তানের খেতে না চাওয়া ।
২৫) পূর্বের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া ।
২৬) কুরআন তিলাওয়াত ও বিশেষ করে আজান সহ্য না হওয়া ।
বিঃদ্রঃ ২, উপরোল্লিখিত লক্ষণগুলোর ২/১ টা লক্ষণ হঠাৎ কখনো ২/১বার প্রকাশ পেলেই জ্বিনের আছর বলে ধরে নেয়া যায়না । কারণ, এগুলোর মধ্য থেকে কিছু কিছু লক্ষণ অন্য কোন শারীরিক বা মানসিক কোন রোগের কারনেও প্রকাশ পেতে পারে । অতএব, এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ লক্ষণ প্রায়ই কারো মাঝে প্রকাশ পেলে এবং ডাক্তারি চিকিৎসায় কোন সমস্যা খুঁজে না পাওয়া গেলে; তার বিষয়ে জ্বিনের আছরের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য রুকইয়াহ’র মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা উচিত ।