লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাদীসটির প্রয়োগ অবশ্যই ব্যাখ্যা সাপেক্ষ । চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় লজ্জা অনেক সময় জীবনে খারাপ কিছু বয়ে আনে, জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয় । বিশেষ করে তা যদি হয় জ্বীনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে— তাহলে ঈমানের অঙ্গ তো দূরের কথা! উল্টো সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে জ্বীনের ধোকায় ঈমান নষ্ট হওয়ার আশংকা তৈরি হয়। আমি বলছিনা চিকিৎসার জন্য আপনার গায়রাত (আত্মমর্যাদাবোধ) জলাঞ্জলি দিতে হবে । কিংবা কোনভাবেই এটাও বুঝাতে চাচ্ছি...
Continue reading...তাকদীর ও বিয়ে বন্ধের যাদু — পর্ব এক
ভূমিকা— ১. প্রত্যেক নারী পুরুষই তাকদীরের শৃঙ্খলে বন্দি । মাখুলক্ব সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ পাক রব্বুল আ’লামীন লাওহে মাহফুজে তাকদীর লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন । আর “বিবাহ” তাক্বদীরের অন্যতম একটি পার্ট । ২. তাকদীর দু’প্রকার । এক প্রকারকে বলা হয়— “তাকদীরে মুবরাম” বা অপরিবর্তনীয় তাক্বদীর । আরেক প্রকারকে বলা হয়— “তাক্বদীরে মুআল্লাক্ব” বা পরিবর্তনীয় তাক্বদীর । তবে আমার আপনার জীবনের সাথে জড়িত তাক্বদীরের কোন অংশটুকু পরিবর্তনীয় ক্যাটাগরির তাক্বদীর; আর কোন অংশটুকু...
Continue reading...কার্স বা অভিশাপের রুকইয়াহ
আপনি বারবার রুকইয়াহ করে যাদু নষ্ট করছেন আর এদিকে যাদুকরও বারবার যাদু করেই যাচ্ছে, কোনভাবেই যাদুর বেষ্টনি থেকে বের হতে পারছেননা, যাদু বারবার রিনিউ করা হচ্ছে, পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে, এমতাবস্থায় শেষ অ/স্ত্র হিসেবে কার্সের আমল করতে পারেন । কার্স শব্দের অর্থ অভিশাপ । কার্সের রুকইয়াহ অর্থাৎ যেখানে যাদুকর ও তার সহযোগীদের অভিশাপ দেয়া হয় । অভিশাপ অর্থ— আল্লাহ পাকের রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার দোয়া করা । কাউকে এভাবে অভিশাপ দেয়া...
Continue reading...সেলফ রুকইয়াহ — আইন-হাসাদ (হিংসা ও বদনজর)
বদনজর একটি সুপ্ত ঘাতক । মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয় । জ্বীনের জন্যও এটি একটি মহা অ-স্ত্র । এমন কোনো রোগী পাইনি যাকে জ্বীন আছর করেছে কিন্তু তাকে নজরের মাধ্যমে ক্ষতি করেনি । এসব দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবলে মাঝেমধ্যে মনে হয় জ্বীনের চেয়েও বদনজরের সমস্যা বেশি মারাত্মক। বদনজর সম্পর্কিত হাদীসগুলো আপনি যত বেশি পড়বেন, ততই আশ্চর্য হতে থাকবেন। এ সম্পর্কিত হাদীসের উপরে সামগ্রিকভাবে গবেষণা করলে দেখবেন যে, এহেন কোনো রোগ বা ক্ষতি...
Continue reading...সন্তান লাভের কুরআনী দোয়া
কয়েকজন নবীকে আল্লাহ পাক রব্বুল আ’লামীন দীর্ঘ একটা সময় নিঃসন্তান রেখে পরীক্ষা করেছেন । ধৈর্যের দীর্ঘ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে; লম্বা সময়ের দোয়ার মাধ্যমে তাঁরা সন্তান লাভ করেছিলেন । তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন হযরত যাকারিয়া (আ.) । তাঁর সন্তান চেয়ে দোয়ার বাক্যগুলো আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন এত বেশি পছন্দ করেছেন যে, তা কুরআনের অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন । অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে যে, যে বাক্যের দোয়া ইতিপূর্বে কবুল হয়েছে পরবর্তীতেও হুবহু উক্ত বাক্যে দোয়া করা...
Continue reading...