খুঁটির সাথে হাত-পা বাঁধা চোরকে যতই পিটুনি আর শাস্তি দেয়া হোক সে যেমন ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না । তেমনি যাদুর অদৃশ্য গিঁট দিয়ে রোগীর শরীরে বেঁধে দেয়া জ্বীন-শয়তানকেও যতই আযাবের রুকইয়াহ করা হোক না কেন; শাস্তি পেয়েও সে বের হতে পারে না বা বের হয় না।
চোরকে বের করতে হলে আগে যেমন তার বাঁধন খুলতে হবে, তেমনি জ্বীনকে শরীর থেকে বের করতে হলেও আগে তার যাদুর গিঁট বা বাঁধন খুলতে হবে । অতএব, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হারক আর আযাবের রুকইয়াহ করে ক্লান্ত না হয়ে আগে বাঁধন খুলুন— গিঁট নষ্টের রুকইয়াহ করুন ।
নোঙর ফেলা নৌকাকে প্রবল বাতাসও ভাসিয়ে নিতে পারে না, অপরদিকে নোঙর বিহীন নৌকা তার চেয়েও ছোটো আরেকটি ডিঙি নৌকার ঢেউতেও আপন স্থানে টিকে থাকতে পারে না । বুঝা গেল, নৌকা সরানোর জন্য ধাক্কাধাক্কি করার আগে তার নোঙর উঠিয়ে ফেলতে হবে ।
জ্বীনেরাও রোগীর আমলের ঢেউয়ের মোকাবেলােয় তার শরীরে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যাদুর নোঙর ফেলে । বোকা রোগী আর অজ্ঞ রাক্বী নোঙর না তুলেই মাসের পর মাস সময় নৌকা সরানোর কসরত করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দেয় । অপরদিকে শয়তান দিনেদিনে তার অস্তিত্ব আরো মজবুত করতে থাকে ।
যাদের জ্বীন রুকইয়াহর সময় মারাত্মক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে, অহংকার দেখায়— আপনারা অবশ্যই টানা কয়েক সপ্তাহ গিঁট নষ্টের অডিও শুনুন । পাশাপাশি আপনার রাক্বীর পরামর্শ নিয়ে গিঁট নষ্টের প্রতি মনোযোগী হোন । যথাসাধ্য বেশি বেশি সূরা ফালাক পড়ুন ।