কেস স্টাডি : জ্বীনের প্রভাবে চারিত্রিক অবক্ষয়

গতকালের ঘটনা— ২৩/০৫/২৩ইং । রোগীর সাথে থাকা জ্বীনটি কেঁদে কেঁদে বললো— ছেড়িডা অনেক ভালা, আমারে পাঠাইছে ওরে নষ্ট করবার লাইগ্যা, কিন্তু ছেড়ি খা—লি আমল করে, এত চেষ্টা করেও ওরে নষ্ট করতে পারলাম না, সূরা ইয়াসিন না কি জানি সূরা— খালি ঐডা পড়তে থাহে । আমল করে আমারে খালি কষ্ট দেয় । আমি ওরে নষ্ট করে পারি না দেইখা যাদুকর আবার আমারে মারে । আমি কিত্তাম! আমারে ছাইড়া দেন ভাই………

ঘটনার প্রেক্ষাপট—

ধার্মিক রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। হঠাৎই ফ্রি মিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছে । একটা সময়ে তা বারে যাওয়া ও ড্রিংক নেয়া পর্যন্ত গড়ালো । অথচ সে নামাজী ও কুরআন পড়ুয়া মেয়ে । তাকে দিয়ে কোনোদিনই এটা হ‌ওয়ার কথা নয় তবুও কেন জানি অকল্পনীয় ও অনাকাঙ্খিতভাবে অনেক কিছুই অটো হয়ে যাচ্ছিলো । যেন কোনো রিমোট দিয়ে তাকে কন্ট্রোল করা হচ্ছে, আর সে ডিরেকশন অনুযায়ী সবকিছু করে যাচ্ছে । মূলত এসব কিছুই হয়েছে জ্বীনের আছরের প্রভাবে । তাকে পজেসড করে এগুলো করানো হয়েছে।

এত কিছুর পরেও সে কিছু কিছু আমল ধরে রেখেছিল । যেকারণে আল্লাহ পাক তাকে হেফাজত করেছেন — নতুবা আরো খারাপ কিছুর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিলো— সেখান থেকে আল্লাহ পাক নিজ দয়ায় তাকে হেফাজত করেছেন।

প্রেক্ষাপটের প্রেক্ষাপট—

নিজের অপমানের বদলা নিতে প্রতিশোধ পরায়ণ জামাই শশুর বাড়ীর সম্মান ধূলোয় মিশিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে— ছোটো শালীর উপরে জ্বীন চালান করেছে । যাতে করে জ্বীন তাকে দিয়ে খারাপ কাজ করায় এবং সমাজে শশুর বাড়ীর লোকেরা হেয় প্রতিপন্ন হয় । জ্বীনটি দীর্ঘ কয়েক বছর রোগীর পিছনে লেগে আছে । এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল‌ও হয়েছে । অবশেষে গতকালের রুক‌ইয়াহতে ধরা পড়ে এসব তথ্য স্বীকার করেছে ।

রোগীকে আরো একটি সেশনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছি । আশাকরি সামনের সেশনে বিষয়টি আরো খোলাসা হবে — ইনশাআল্লাহ্।

error: Content is protected !!