আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মু’মিনদের জন্য সুচিকিৎসা ও রহমত। সূরা বনী ইসরাঈল, ৮২ ।
আয়াতটিতে কুরআনকে শারীরিক বা আত্মিক কোনটির সাথে নির্দিস্ট না করে ব্যাপকভাবে ‘শিফা তথা সু-চিকিৎসা’ হিসেবে উল্লেখ করা; ইঙ্গিত বহন করে যে, কুরআনের মধ্যে শারীরিক ও আত্মিক উভয় রোগের জন্যই নিরাময় রয়েছে ।
কুরআনের যেকোন আয়াত বা সূরা-ই সকল রোগের জন্য আরোগ্য । তবে যে রোগের আরোগ্যোর নিয়তে কুরআন পাঠ করা হবে; যে সমস্ত আয়াতে তদসংশ্লিষ্ট আলোচনা এসছে; (আল্লাহ চাইলে) সে সমস্ত আয়াতসমূহ উক্ত রোগের জন্য বেশি ইফেক্টিভ ।
যেমন, যাদু নষ্টের জন্য যাদু সংক্রান্ত আয়াত, হিংসার প্রভাব দূর করার জন্য হিংসা সংক্রান্ত আয়াত, জ্বিনকে কষ্ট দেয়ার জন্য জাহান্নাম ও আগুন সংক্রান্ত আয়াত ইত্যাদি ইত্যাদি ।
বিঃদ্রঃ ঔষধ সেবন করা সুন্নাহ । এবং এটা কখনোই তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপরে ভরসা) এর বিপরীত নয় । সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহনের পরেও সেগুলোর উপরে ভরসা না করে আল্লাহর দিকে মুখাপেক্ষী হওয়াটাই তাওয়াক্কুলের মূল শিক্ষা । অতএব, শারীরিক কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ করতে চাইলে; রুকইয়াহ’র পাশাপাশি সুন্নাহ হিসেবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসাও গ্রহণ করা উচিত ।