কুরআনের প্রতিটি আয়াতই মানুষের শারীরিক ও মানসিক সকল রোগের জন্য ঔষধ । তন্মধ্যে যে সমস্ত আয়াতে সংশ্লিষ্ট রোগ বা অভীষ্টের কথা আলোচিত হয়েছে— উক্ত রোগ মুুক্তি ও অভীষ্ট লাভের জন্য সে সমস্ত আয়াতের তিলাওয়াত আরো বেশি উপকারী।
সুতরাং যাদের বাচ্চা হচ্ছেনা— তারা গর্ভধারণের নিয়তে, আর যারা অলরেডি গর্ভবতী— তারা গর্ভ রক্ষার নিয়তে, কুরআনে বর্ণিত গর্ভ সংক্রান্ত আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলে, নিজেকে বা অন্যকে রুকইয়াহ তথা ঝাড়ফুঁক করলে, পানিতে ফুঁ দিয়ে পান করলে ও গোসল করলে, কালোজিরার দানা, তেল, অথবা মধুতে ফুঁ দিয়ে তা নিয়মিত ব্যবহার করলে এসব ব্যাপারগুলোতে অনেক বেশি উপকৃত হবেন—ইনশাআল্লাহ্ ।
গর্ভ সংক্রান্ত আয়াত—
১) সূরা আলে ইমরান— ৬, ৩৮-৪০, ৪৫-৪৭,
২) সূরা নিসা— ১
৩) সূরা আ’রাফ — ১৮৯
৪) সূরা হুদ— ৬৯-৭৩
৫) সূরা রা’দ— ৯
৬) সূরা মারইয়াম— ১-৯
৭) সূরা আম্বিয়া— ৮৯, ৯০
৮) সূরা ফুরক্বান— ৭৪
৯) সূরা লোকমান— ১৪
১০) সূরা ফাতির— ১১
১১) সূরা হামিম সাজদা— ৪৭
১২) সূরা শূরা— ৪৯, ৫০
১৩) সূরা আহক্বাফ— ১৫
১৪) সূরা যারিয়াত— ২৪-৩০
১৫) সূরা তালাক— ৪-৬
বিঃদ্রঃ স্বামী-স্ত্রীর কারো শারীরিক সমস্যা থাকলে উপরোক্ত আমলের পাশাপাশি সুন্নাতের নিয়তে অবশ্যই ডাক্তারি চিকিৎসা গ্রহণ করবেন । আমল শুরু করার পূর্বে উপরোক্ত আয়াতগুলোর অর্থ এবং সংক্ষিপ্ত তাফসীর দেখে নিতে পারলে খুব বেশি ভালো ।
নোটঃ যাদের ইতিপূর্বে গর্ভ নষ্টের ইতিহাস আছে, তাদের জন্য এ আমলটির পাশাপাশি পূর্বে যে কারণে বাচ্চা নষ্ট হয়েছিল অবশ্যই আগে তার চিকিৎসা নিতে হবে । যেমন, কেহ গর্ভনষ্টের যাদুতে আক্রান্ত থাকলে অবশ্যই তাকে আগে যাদু নষ্টের রুকইয়াহ করতে হবে । তেমনিভাবে পূর্ববর্তী বাচ্চা আশিক জ্বীনের কারণে নষ্ট হয়ে থাকলে আগে আশিক জ্বীনের রুকইয়াহ করতে হবে । এবং ডাক্তারি ডায়াগনোসিসে পূর্ববর্তী বাচ্চা নষ্ট হওয়ার মত কোন কারন খুঁজে পাওয়া গেলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিতে হবে ।