সিহর (যাদু) এর পরিচয়ঃ যাদু এর আরবী প্রতিশব্দ ‘সিহর’ । এর আভিধানিক অর্থ— কোন বস্তুকে তার স্বরূপ থেকে বিচ্যুত করা । যেমনঃ সুস্থতাকে রোগ ব্যাধিতে পরিবর্তন করা । যাদু হলো, এমন একটি বিষয় যার উৎস অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং স্পর্শকাতর । যার মাধ্যমে বাতিলকে হকের আকৃতি দেয়া হয় এবং কোন বস্তুকে এমন দৃষ্টিনন্দন রূপে উপস্থাপন করা হয়, যাতে লোকজন অবাক হয়ে যায় । যাদু তথা সিহর হচ্ছে শয়তান ও যাদুকরের মধ্যকার এক চুক্তির...
Continue reading...যাদু
তাবিজ বা যাদুর জিনিস নষ্ট করার পদ্ধতি
সতর্কতাঃ কিছু কিছু তাবিজ বা যাদুর ক্ষেত্রে স্পর্শ করা হলে, ঘ্রাণ বা গন্ধ নিলে, আগুনে পোড়ানো হলে— নষ্ট হওয়ার পরিবর্তে এক্টিভ হয়ে যায় । সুতরাং তাবিজ বা যেকোন সন্দেহজনক যাদুর বস্তু পেলে খালি হাতে তা স্পর্শ করা, ঘ্রাণ নেয়া বা পুড়ে ফেলা ঝুঁকিপূর্ণ। তাবিজ বা সন্দেহজনক কোনো যাদুর বস্তু পেলে হাতে গ্লাভস পড়ে বা পলিথিন ইত্যাদি পেঁচিয়ে সতর্কতার সাথে খুলে ভিতরের মূল অংশ (তাবিজের কাগজ ইত্যাদি) বের করতে হবে । নাকের কাছে...
Continue reading...যাদের সন্তান হচ্ছেনা!
দীর্ঘদিন যাবত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছেন, ডাক্তারি ডায়াগনোসিসে স্বামী-স্ত্রীর কারোই কোন সমস্যা ধরা পড়ছেনা, এতদাসত্ত্বেও যাদের সন্তান হচ্ছেনা! আপনার জন্য প্রথম পরামর্শ হচ্ছে—নিয়মিত দোয়া তাকদীরের এ ফয়সালার ওপর ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ পাকের কাছে বেশি বেশি দুয়া করতে থাকুন । হয়তবা এ বিলম্ব বা না দেয়ার মাঝেই আল্লাহ আপনাদের জন্য কোন কল্যান রেখেছেন । কুরআনে নিঃসন্তান এক দম্পতির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে— যেখানে স্ত্রী ছিলেন বন্ধ্যা, স্বামী ছিলেন বয়োবৃদ্ধ । এতদাসত্ত্বেও দোয়ার বরকতে...
Continue reading...বন্ধ্যাত্ব বা গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদু
বন্ধ্যাত্বের রোগ পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে । বন্ধ্যাত্ব দুই প্রকার– এক. সৃষ্টিগত স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব । যার চিকিৎসা সম্ভব নয় । দুই. কোনো রোগের কারণে সৃষ্ট অস্থায়ী বন্ধ্যাত্ব । এই প্রকার বন্ধ্যাত্বের অবশ্যই চিকিৎিসা সম্ভব । পুরুষ হোক বা নারী উভয়েই দুই কারণে অস্থায়ী বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারে । এক. শারীরিক অসুস্থতার জন্য । দুই. শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সত্ত্বেও জিন-যাদুর কারণেও বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারে । পুরুষের অস্থায়ী বন্ধ্যাত্ব সন্তান...
Continue reading...যাদু নষ্টের গোসল
সাতবার, তিনবার বা সময়ের বিচেনায় যত বেশি সংখ্যকবার সম্ভব নিম্নোক্ত আয়াতগুলো পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিবেন । অতঃপর উক্ত পানি দ্বারা এমনভাবে গোসল করবেন যেন মাথার চুল থেকে নিয়ে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রত্যেকটি জায়গায় উক্ত পানি পৌঁছে যায়। নিজ নিজ রাক্বির পরামর্শ অনুযায়ী তিন দিন/সাত দিন অথবা রোগীর পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি যতদিনের পরামর্শ দিবেন ততদিন গোসল করবেন । বিঃদ্রঃ উক্ত পানির সাথে জমজম, বৃষ্টি ও গোলাপের পানি বা যেকোন একটা মিশিয়ে নিতে...
Continue reading...