
১. হাশরের কঠিন দিনে রহমানুর রহীম আল্লাহ যাকে খুশি তাকে সকল ধরণের গুনাহ মাফ করবেন একমাত্র শিরকের গুনাহ ব্যতিত । (ভাবার্থ – সূরা নিসা, ৪৮)
২. স্বাধীন দেশে স্বাধীন মুসলমানদের জন্য শরীয়তের কোন বিষয় ‘জিহালাত’ ( অজ্ঞতা) ওযর হিসেবে বিবেচ্য নয় । সুতরাং শিরক করার পরে “জানতাম না” টাইপের কথা গ্রহণযোগ্য হবেনা ।
৩. নিচের ছবিতে যে তাবিজের নকশাটি দেখা যাচ্ছে এটি “নকশে নাদে আলী” নামে পরিচিত শিরকে ভরপূর একটি নকশা । বড় পরিতাপের বিষয় হচ্ছে অনেক মুসলামান নামধারী ব্যক্তিদের দোকানে, অফিসে ও ঘরে এই নকশাটি দেখা যায় । এটি যে শিরকী দোয়ার নকশা তা জানার জন্য মাওলানা-মুফতী হওয়ার প্রয়োজন পড়েনা, দুয়াটির প্রথম বাক্যটির অর্থ জানলেই বুঝা যায় ।
দুয়াটির আরবী পাঠ নিম্নরুপ –
না-দি ‘আলিয়্যাম মুযহিরাল ‘আজা-ইবি তাজিদুহু ‘আওনাল্লাকা ফিন-নাওয়া-ইবি , কুল্লু হাম্মিওঁ ওয়া গাম্মিন সাইয়ানজালী-বিনুবুওয়াতিকা ইয়া রাসূলাল্লা-হি ওয়া বিভিলা-ইয়াতিকা ইয়া – ‘আলিয়্যু, ইয়া- ‘আলিয়্যু, ইয়া – ‘আলিয়্যু। (নাউজুবিল্লাহ)
অর্থ – ‘‘আশ্চর্য কর্মাদি প্রকাশকারী আলীকে ডাক, তাকে তুমি বিপদে আপদে তোমার সহায়ক পাবে। হে মুহাম্মাদ, আপনার নবুয়তের ওসীলায়। হে আলী, আপনার বেলায়াতের ওসীলায়। হে আলী, হে আলী, হে আলী
( নাউজুবিল্লাহ )
দোয়াটিতে সাহায্য কামনায় গাইরুল্লাহকে (আলীকে) ডাকা হচ্ছে যা স্পষ্ট শিরক । হযরত আলী (রা.) কে বিপদে সাহায্যকারী মনে করে হচ্ছে যা আরেকটি স্পষ্ট শিরক । পুরো দুয়াটিই শিরকে ভরপুর ।
সুতরাং এই তাবিজ এবং এ ধরণের যত শিরকী তাবীজ আছে সেগুলো কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না । কোন আবজাদের নকশার তাবীজও ব্যবহার করা যাবেনা । রসূলুল্লাহ (স.) এর দেখিয়ে যাওয়া পথ ও মতের মধ্যেই শান্তি ও কামিয়াবী, চিকিৎসা হিসেবে তিনি যে সমস্ত সূরা, আয়াত ও দুয়া বাতলে দিয়েছেন সেগুলোই সর্বোত্বম । নবীর সাচ্চা আশীক ও সু-উম্মত হিসেবে এগুলোই আমাদের আকড়ে ধরা আবশ্যক ।
আল্লাহ শিরক থেকে নিজ গুণে আমাদের হেফাজত করুন ।
You must be logged in to post a comment.