জ্বীন হচ্ছে আমাদের অদৃশ্য শত্রু । ওদের শত্রুতা ও তার ধরণ আমরা চর্মচোখে দেখতে পাইনা, অথচ ওদের বিরুদ্ধে গৃহীত আমাদের ডিফেন্স মূলক পদক্ষেপগুলো কিন্তু ওরা ঠিকই দেখতে পায় । এজন্যই রোগীর দ্রুত সুস্থতা লাভের জন্য প্রথমত আল্লাহ পাকের রহমত, দ্বিতীয়তঃ রাকীর বিচক্ষণতা, রোগীকে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও জ্বীনের টার্গেড পয়েন্টে হিট করতে পারা খুবই গরুত্বপূর্ণ ।
হাদীস শরীফে এসছে—
প্রত্যেক অসুখের ঔষধ রয়েছে । রোগ অনুযায়ী উপযুক্ত ঔষধ যখন ব্যবহার করা হবে, আল্লাহর হুকুমে তা থেকে আরোগ্য লাভ করবে । (সহীহ মুসলিম – ২২০৪)
জ্বীনের মূল টার্গেড পয়েন্টের যতটা কাছাকাছি ফোকাস করা যাবে তত দ্রুত সমাধানের আশা করা যায় । তীর নিশানায় কুরআনী আঘাত লেগে গেলেই আল্লাহ চাহে তো কেস দ্রুত ক্লোজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্ ।
জ্বীনের টার্গেড পয়েন্ট ফাইন্ড আউট করতে রোগী ও রাকীকে সাহয্য করতে পারে রোগীর বা রোগীর অভিবাবকের স্বপ্ন । দীর্ঘকাল যাদুগ্রস্ত থাকার পরে নবী (আ.) কেও স্বপ্নের মাধ্যমেই তার যাদুর স্থান ও তা থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে জানানো হয়েছিল ।
তবে সত্য স্বপ্ন দেখার সৌভাগ্য লাভের জন্য বাস্তব জীবনে রোগীর সত্যবাদী হওয়াটা খুবই খুবই গুুত্বপূর্ণ। সত্যবাদী মুমিনের স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কতা বা সুসংবাদ । সজাগ অবস্থায় যে যত বেশি সত্য বলে, ঘুমন্ত অবস্থায় সে তত বেশি সত্য স্বপ্ন দেখে ।