অবাধ্য সন্তান সংশোধনের আমল

এই আমলটি মায়ের করতে হবে । যেকোন ফরজ নামাজের পরে নিম্নোক্ত আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে অবাধ্য সন্তানের সংশোধের জন্য আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করুন । সন্তান ভুল বুঝে রাগ করে থাকলে বা বাড়ি থেকে চলে গিয়ে থাকলে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্যও এই আয়াতগুলোর তিলাওয়াত খুবই উপকারি হবে— ইনশাআল্লাহ্ । বিস্তারিত নিয়ম পোস্টের শেষে লক্ষ্য করুন ।

১) সূরা ত্বহার ৪০ নং আয়াতাংশ— ফা রজা’নাকা ইলা উম্মিকা, কাই তাকার্রা আইনুহা ওয়া লা তাহযানা ।

অর্থ— অতঃপর আমি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চোখ শীতল হয় এবং সে চিন্তিত না হয় ।

২) সূরা ত্বহা ৩৯ নং আয়াতাংশ— ওয়া আলকাইতু আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নি

অর্থ— (ছেলের অন্তরে) অমার (আল্লাহর) পক্ষ থেকে তোমার (মায়ের) প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দিলাম।

৩) সূরা আলে ইমরান ১০৩ নং আয়াতাংশ— ফা আল্লাফা বাইনা কুলুবিকুম ।

অর্থ— অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তোমাদের অন্তরের মাঝে মিলিয়ে দিলেন।

৪) সূরা আনফাল ৬৩ নং আয়াতাংশ— ওয়া আল্লাফা বাইনা কুলুবিহিম

অর্থ— এবং তিনি (আল্লাহ) তাদের অন্তরের মাঝে মিলিয়ে দিলেন।

৫) সূরা হিজরের ৪৭নং আয়াতাংশ — ওয়া নাযা’না মা ফি সুদুরিহীম মিন গিল্লিন

অর্থ— তাদের অন্তরে যে বিদ্বেষ রয়েছে তা আমি টেনে বের করে দিলাম।

৬) সূরা আলে ইমরানের ১৫৯ নং আয়াতাংশ— ফাবিমা রহমাতিম মিনাল্লাহি লিংতা লাহুম

অর্থ— আল্লাহর রহমতে আপনি তাদের জন্য নরম আচরণের হয়েছেন।

পড়ার নিয়ম— ১ নম্বর আয়াতটি ১১ বার । বাকি আয়াতগুলো ৩ বার করে ফজর ও মাগরিবের পরে তিলাওয়াত করবেন।

প্রত্যেকটি আয়াত পড়ার সময় আপনার প্রেক্ষাপটের সাথে মিলিয়ে নিয়ত করবেন।

যেমন— ১ নম্বর আয়াতটি তিলাওয়াতের সময় আপনার সন্তানকে যেন আল্লাহ আপনার কাছে আগের মতো ফিরিয়ে দেন সেই নিয়ত করবেন।

২, ৩ ও ৪নং আয়াত তিলাওয়াতকালে তার অন্তরে যেন আপনার প্রতি অনেক ভালোবাসা তৈরি হয় সেই নিয়ত করবেন ‌।

৫ নং আয়াত তিলাওয়াতকালে তার অন্তরে থাকা আপনার প্রতি জমানো বিদ্বেষ যেন আল্লাহ নষ্ট করে সেই নিয়ত করবেন।

৬ নম্বর আয়াত তিলাওয়াতকালে তার অন্তর যে আপনার প্রতি নরম হয় সে নিয়ত করবেন।

error: Content is protected !!