সেলফ রুক‌ইয়াহ — আইন-হাসাদ (হিংসা ও বদনজর)

বদনজর একটি সুপ্ত ঘাতক । মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয় । জ্বীনের জন্য‌ও এটি একটি মহা অ-স্ত্র । এমন কোনো রোগী পাইনি যাকে জ্বীন আছর করেছে কিন্তু তাকে নজরের মাধ্যমে ক্ষতি করেনি । এসব দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবলে মাঝেমধ্যে মনে হয় জ্বীনের চেয়েও বদনজরের সমস্যা বেশি মারাত্মক।

বদনজর সম্পর্কিত হাদীসগুলো আপনি যত বেশি পড়বেন, তত‌ই আশ্চর্য হতে থাকবেন। এ সম্পর্কিত হাদীসের উপরে সামগ্রিকভাবে গবেষণা করলে দেখবেন যে, এহেন কোনো রোগ বা ক্ষতি নেই যা এর কারণে হ‌তে পারেনা । অতএব, এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে । বদনজরের আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচতে নিয়মিত ফজর ও মাগরিবের মাসনূন দোয়া পড়ার অভ্যাস করতে হবে । এতদসত্ত্বেও অসাবধানতাবশত বদনজরে আক্রান্ত হয়ে পড়লে নিম্নোক্ত নিয়ম ফলো করে “রুকইয়াহ” করে নিলে এর খারাপ প্রভাব থেকে আল্লাহ রক্ষা করবেন— ইনশাআল্লাহ্ ।

১। বদনজর ও হিংসার প্রভাব নষ্টের নিয়ত করে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে তিন কুল তথা— সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস তিনবার করে তিলাওয়াত করে হালকা থুথুর সাথে উভয় হাতে ফুঁ দিন । অতঃপর হাত দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীর মুছে নিন ।

হাদীস— আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “মুআওয়াযাতাইন” (সূরা ফালাক ও নাস) নাযিল হওয়া পর্যন্ত (বিভিন্ন বাক্য/দোয়ার মাধ্যমে) জীন এবং মানুষের বদনজর থেকে (আল্লাহর কাছে) আশ্রয় চাইতেন। যখন সূরা দু’টি নাযিল হলো; এই দু’টিকেই গ্রহণ করলেন এবং অন্যগুলো পরিত্যাগ করলেন। সুনানে তিরমিযী (২০৫৮)

২। ৪১ বার, ২১বার অথবা কমবেশি যতবার সম্ভব সূরা ফালাক ও নাস পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে নিয়মিত সকালে খালিপেটে ও রাতে ঘুমানোর পূর্বে উক্ত পানি পান করুন ।

 ৩। বদনজর ও হিংসার প্রভাব নষ্টের নিয়ত করে প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের পরে নিম্নোক্ত লিংকের দোয়াগুলো পড়ে বদনজরগ্রস্থ ব্যক্তিকে ঝাড়ফুঁক করুন। > https://muftialamin.com/ruqyah-for-evile-eye/

৪। বদনজর নষ্টের নিয়তে ফজর ও মাগরিব বা ফজর ও এশার পরে ১বার করে নিচের তিলাওয়াতটি শুনবেন। > https://muftialamin.com/ruqyah-evil-eye-and-jealousy/

৫। নিচের নিয়ম ফলো করে বদনজর নষ্টের নিয়তে তিনদিন বা সাতদিন গোসল করুন । বদনজর দাতার পরিচয় জানা থাকলে তার অযূর পানি মিশিয়ে গোনিতে পারলে ভালো । > https://muftialamin.com/evil-eay-gosol/

দুই সপ্তাহ উপরোক্ত পরামর্শ করার পরেও সমস্যা থেকে গেলে সরাসরি অভিজ্ঞ কোন আলেম রাক্বীর শরণাপন্ন হয়ে তার কাছে গিয়ে সরাসরি রুক‌ইয়া করবেন ।

error: Content is protected !!