বিপদজনক পরিস্থিতিতে জ্বীনে আক্রান্ত রোগীকে কন্ট্রোলে আনতে শরীরের সর্বশক্তি ব্যবহার করে উচ্চ আওয়াজে আজান দিন ।
বছর তিনেক আগের ঘটনা, জ্বীনে আক্রান্ত একজন মেয়ে রোগীকে আমার কাছে নিয়ে আসা হলো । রুকইয়াহ করে পাওয়া গেলো মেয়েটি হত্যার যাদুতে আক্রান্ত। তারই বাবার কবরে যাদুর বস্তু পুঁতে রেখে তাকে যাদু করা হয়েছিল। সাথে আসা যাদুর খাদিম জ্বীনটি ছিলো মারাত্মক শক্তিশালী ও আক্রমণাত্মক।
অবস্থার সিরিয়াসনেস দেখে প্রথম দিনেই লং সেশন রুকইয়াহ করলাম। দীর্ঘসময় পরে জ্বীনটি যখন দুর্বল হয়ে কন্ট্রোলে চলে এসেছিল, তখন ঐদিনের মতো বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম । মূলত লম্বা সময় ধরে তিলাওয়াত করতে করতে আমি নিজেও কিছুটা দূর্বল ও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আর সে কারণেই আরেকটি সিরিয়াল দিয়ে সেদিনের মত তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ।
সেদিন তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল বিকেল তিনটায় । রাত দশটার দিকে রোগীর অভিভাবক কান্না জড়িত কন্ঠে ফোন দিয়ে জানালো যে, রোগী হাতে ব্লেড নিয়ে বসে আছে। আর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে কাছে আসবিনা, রুকইয়াহর অডিও প্লে করবি না, হুযূরকে ডাকবি না, তাহলে কিন্তু গলায় পোঁচ দিবো।
রোগীর বাসা কাছাকাছিই ছিলো । ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে চলে গেলাম । কিন্তু গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়লাম। এহেন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমার ঠিক কি করা বা পড়া উচিত বুঝে উঠতে পারছিলাম না । হঠাৎ আজান সংক্রান্ত হাদিসগুলো মাথায় চলে আসলো, সিদ্ধান্ত নিলাম এই মুহূর্তে আমার আজান দেওয়া উচিত । আল্লাহর উপর ভরসা করে গলার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে আজান শুরু করে দিলাম । আল্লাহ তার কুদরত দেখিয়ে দিলেন, রোগী গলা থেকে ব্লেড নামিয়ে ফেলল, এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তার হাত থেকে ব্লেড পড়ে গেল ।
আল্লাহু আকবার।