হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (স.) কে বদনজরের রুকইয়াহ করতাম, আমি তার বুকের উপরে আমার হাত রেখে বলতাম—
রুকইয়াহ হাসানাঈন (রা.)—
রসূলুল্লাহ (স.) তার কলিজার টুকরা আদরের নাতী, জান্নাতী যুবকদের সরদারদ্বয় হযরত হাসান (রা) এবং হযরত হুসাইন (রা.) কে ছোট বেলায় একটি দুয়া পড়ে রুকইয়াহ (ঝাড়ফুঁক) করতেন; যেটি পড়ে নবী হযরত ইবরাহীম (আ.)ও তার দুই পুত্র হযরত ইসহাক (আ.) এবং ইসমাঈল (আ.) কে ঝাড়ফুঁক করেছেন ।
দুয়াটি এই—
أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
বাংলা উচ্চারণ — উঈযুকুমা বি-কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শাঈত্বনিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ
অর্থ— আল্লাহ তা‘আলার পরিপূর্ণ জাত ও সিফাতের ওসিলায় আমি তোমাদের উভয়ের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রত্যেক শয়তান, জীবন নাশ কর বিষ, এবং প্রত্যেক ধরণের আপতিত বদ নযর থেকে। সুনানে তিরমিযী-২০৬৪
দৃষ্টি আকর্ষণ— অনারবী কোনো ভাষায় আরবীর বিশুদ্ধ উচ্চারণ লেখা সম্ভব নয়। অতএব আরবী পড়তে পারে এমন কারো থেকে শুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নিতে হবে।
বিঃদ্রঃ নবী কারীম (স.) উপরোক্ত দোয়া একসাথে তার দুই নাতীকে রুকইয়াহ করতেন । সুতরাং একসাথে দুইজনকে রুকইয়াহ করতে চাইলে হাদীসে যে শব্দে বর্ণিত হয়েছে সেভাবেই পড়বে । কিন্ত একজন বাচ্চাকে রুকইয়াহ করতে চাইলে দুয়াটির প্রথম শব্দ أُعِيذُكُمَا (দ্বি-বচন) এর পরিবর্তে; ছেলে বাচ্চার জন্য أُعِيذُكَ (উঈযুকা) এবং মেয়ে বাচ্চার জন্য أُعِيذُكِ (উঈযুকি) পড়বে । এবং নিজের জন্য হলে أعوذُ (আঊযু) পড়বে ।