স্বামীকে বশে রাখতে চায়না এমন স্ত্রী দুনিয়া তন্ন-তন্ন করে খুঁজলেও হয়ত পাওয়া যাবেনা । এমনকি আমাদের সম্মানিতা ‘মা’ রসূলুল্লাহ (স) এর পত্মীগণও এক্ষেত্রে আর দশজন মহিলাদের চেয়ে ভিন্ন ছিলেননা । স্বামী মুহাম্মাদ (স) এর একটু বেশি ভালবাসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিতে; তারাও পিছপা হননি । আর হবেন-ই বা কি করে? পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহা-মানব, সর্বশ্রেষ্ঠ স্বামীর সঙ্গ পেতে কে-ই বা না চায়?
বৈধ উপায়ে স্বামীর ভালবাসা অর্জন দোষের তো নয়ই বরং অনেক বড় পূণ্যের কাজ । স্বামীর মনের মনিকোঠায় স্থান নেয়ার জন্য স্ত্রীর পক্ষ থেকে গৃহীত প্রতিটি বৈধ পদক্ষেপই নূন্যতম সদকা সমতূল্য ছওয়াব রাখে ।
তবে…
অনেক মেয়েরা নিজ স্বামীকে কাঠপুতুল বানিয়ে রাখতে চায় । তাকে নিজের অন্যায় আবদারগুলো মানাতে চায় । যখনই কোন বিবেকবান স্বামী; স্ত্রীর এ অন্যায় আবদারগুলো মানতে না চায়, ঠিক সেই মুহুর্তেই শয়তান তার মাথার মধ্যে তাবিজ-কবজের কথা ঢুকিয়ে দেয় ।
শয়তানের ধোকায় পড়া এ সমস্ত বোনেরাই ভেল্কিবাজ কবিরাজদের প্রধান কাস্টমার । মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা কবিরাজের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় । আর কবিরাজের পরামর্শ অনুযায়ী স্বামীর উপরে বিভিন্ন নাজায়েয ও শিরকী তাবিজ-কবজ এপ্লাই করে । আর এতেই ঘটে অনাকাঙ্খিত পরিণতি । ঘটে যায় -‘হীতে বিপরীত’ ।
কবিরাজরা মূলত পূঁজা-আর্চনা, বলিদান, মুরগী, পাঠা ইত্যাদি উৎসর্গ করার মাধ্যমে শয়তানকে সন্তুষ্ট করে তার মাধ্যমে তাদের রোগীর কার্যসিদ্ধি করে । হয় কি! কখনো কখনো বলিদান বা উৎসর্গ ইত্যাদি ঠিকঠাকভাবে না করলে শয়তান-ই আবার তাদের এবং তাদের রোগীদের ক্ষতি করতে শুরু করে । কখনো আবার দুঃশ্চরিত্র কবিরাজ নিজেই অন্যের স্ত্রীকে বশে আনার জন্য স্বামীর সাথে তার বিবেদ ঘটিয়ে দেয় । বা মহিলাকে তার স্থায়ী কাস্টমারে পরিণত করার জন্য ইচ্ছে করেই যাদুর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আগের তুলনায় আরো বেশি অবনতি ঘটায় । যাতে স্ত্রী আরো বেশি অস্থির হয়ে পুনরায় কবিরাজের কাছে আসে, আর কবিরাজ তার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাকাতে পারে ।
অতএব, প্রিয় বোনেরা আমার! কুরআন-সুন্নাহই হচ্ছে প্রত্যেক মুসলিম-মুসলিমার শারীরিক ও মানসিক সকল রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত একমাত্র চিকিৎসা ব্যবস্থা । আল্লাহ কুরআনের মধ্যে সকল কিছুর চিকিৎসা রেখেছেন । স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হলে ‘কুরআনি আমল’ করুন, দোয়া করুন – আল্লাহ ঠিক করে দিবেন ইনশাআল্লাহ ।