নজর অর্থ সাধারণ দৃষ্টি আর বদনজর মানে হলো– কুদৃষ্টি বা মন্দচাহনি ।
১) বদনজর হলো, হিংসার নিকৃষ্ট স্বভাব-মিশ্রিত বিষাক্ত দৃষ্টি, যা কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয় ।
২) ইবনে হাজার আসকালানী (রহ) বলেন, হিংসা নিয়ে মন্দ লোকের দৃষ্টিপাত এর প্রভাবে ব্যক্তি বা বস্তুর যে ক্ষতি হয় তাকে বদনজর বলা হয় ।
৩) আল্লাহ তায়ালার প্রসংশা ব্যতিত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর গুণাগুণ বা প্রসংশা করার দ্বারা ব্যক্তি বা বস্তুর যে ক্ষতি হয় তাকে বদনজর বলে ।
৪) কোন ব্যক্তি বা বস্তুর দিকে হিংসা মিশ্রিত বিস্ময় নিয়ে দৃষ্টি নিক্ষেপ করাকে বদনজর বলা হয় ।
৫) কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি আশ্চর্য হয়ে হিংসার দৃষ্টি নিক্ষেপ করাকে বদনজর বলা হয়।
বদনজরের মধ্যে আল্লাহ এতই মারাত্মক প্রভাব রেখেছেন যে, এর দ্বারা মুহুর্তের মধ্যে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয় যেতে পারে ।
একটি ভূল ধারণা : বদনজর শুধু খারাপ মানুষের মাধ্যমে লাগে এমন নয় । কখনো কখনো ভালবাসার মানুষের দ্বারাও ‘নজর’ লাগতে পারে । এমনকি অনেক সময় নিজের উপরও নিজের নজর লাগতে পারে ।
বদনজর দু প্রকার ঃ
- ১) মানুষের বদনজর
২) জিনের বদনজর
তেমনি বদনজরের ক্ষেত্রও দু’টি ঃ
১) ব্যক্তির উপরে বদনজর
২) বস্তুর উপরে বদনজর
বদনজরের কারণে যেসব রোগ হতে পারে ঃ
১) জ্বরসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা
২) বিভিন্ন প্রকারের ক্যান্সার
৩) হার্ট অ্যাটাক
৪) শ্বাসকষ্ট
৫) হাঁপানি
৬) প্যারালাইসিস
৭) বন্ধ্যাত্ব
৮) ডায়াবেটিস
৯) ব্লাড প্রেশার
১০) সাময়িক বা স্থায়ী বোবা হয়ে যাওয়া
১১) অজ্ঞান হয়ে যাওয়া (হাদীস দ্বারা প্রমানিত)
১২) এছাড়াও অন্যান্য যেকোনো রোগ
বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে রুকইয়াহ করা হলে যে সমস্ত প্রতিক্রিয়া হতে পারে ঃ
১) রুকইয়াহ অবস্থায় প্রচুর ঘুম আসা
২) ক্লান্তি লাগা
৩) বারবার হাই ওঠা
৪) হাত-পা শিরশির করা
৫) শরীর ঘেমে যাওয়া
৬) চুলকানি
৭) রুকইয়াহ করার পরে পেশাব হলুদ হওয়া