লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাদীসটির প্রয়োগ অবশ্যই ব্যাখ্যা সাপেক্ষ । চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় লজ্জা অনেক সময় জীবনে খারাপ কিছু বয়ে আনে, জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয় । বিশেষ করে তা যদি হয় জ্বীনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে— তাহলে ঈমানের অঙ্গ তো দূরের কথা! উল্টো সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে জ্বীনের ধোকায় ঈমান নষ্ট হওয়ার আশংকা তৈরি হয়।
আমি বলছিনা চিকিৎসার জন্য আপনার গায়রাত (আত্মমর্যাদাবোধ) জলাঞ্জলি দিতে হবে । কিংবা কোনভাবেই এটাও বুঝাতে চাচ্ছি না যে, আপনার মধ্যে গায়রাত, লজ্জা ও সংকোচবোধ থাকা দোষণীয়— বরং এ গুণগুলো প্রত্যেকটি মুমিন-মুমিনাহ নারী-পুরুষের জন্য যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি আবশ্যকীয়ও বটে । তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এগুলোর সীমারেখা বুঝতে হবে, অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কাম্য নয় । গায়রাত বজায় রেখে বিকল্প শালীন শব্দে আপনার রোগ সংশ্লিষ্ট গোপনীয় বিষয় সম্পর্কেও চিকিৎসককে অবহিত করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ— ‘পিরিয়ড’ শব্দটির কথাই যদি আমরা বলি— এটি নারী জীবনের স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া— তবুও নন মাহরাম নারী-পুরুষের আলাপকালে শব্দটির সরাসরি ব্যবহার করা অবশ্যই বিব্রতকর । সেক্ষেত্রে শব্দটির সরাসরি ব্যবহার না করে ইঙ্গিতমূলক বিকল্প শব্দে বলা যেতে পারে—“নামাজ বন্ধকালীন সময়ে”। এমনিভাবে অল্টারনেটিভ শব্দ দিয়ে হলেও আপনার রোগ সংশ্লিস্ট খুঁটিনাটি সকল বিষয়গুলো আপনার চিকিৎসককে জানানো আবশ্যক।
আশাকরি মূল বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি । জাযাকুমুল্লাহু খাইরান ।