তাবিজ বা যাদুর জিনিস নষ্ট করার পদ্ধতি

সতর্কতাঃ কিছু কিছু তাবিজ বা যাদুর ক্ষেত্রে স্পর্শ করা হলে, ঘ্রাণ বা গন্ধ নিলে, আগুনে পোড়ানো হলে— নষ্ট হওয়ার পরিবর্তে এক্টিভ হয়ে যায় । সুতরাং তাবিজ বা যেকোন সন্দেহজনক যাদুর বস্তু পেলে খালি হাতে তা স্পর্শ করা, ঘ্রাণ নেয়া বা পুড়ে ফেলা ঝুঁকিপূর্ণ।

তাবিজ বা সন্দেহজনক কোনো যাদুর বস্তু পেলে হাতে গ্লাভস পড়ে বা পলিথিন ইত্যাদি পেঁচিয়ে সতর্কতার সাথে খুলে ভিতরের মূল অংশ (তাবিজের কাগজ ইত্যাদি) বের করতে হবে । নাকের কাছে নেয়া যাবে না, বরং ওভার সতর্কতা স্বরূপ— হ্যান্ড গ্লাভস এর পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার করে নিলে আরো ভালো হয় । যাতে নাকে ঘ্রাণ পৌঁছে তা কোন ক্ষতি বয়ে আনতে না পারে । এবং তা নষ্ট করার জন্য প্রথমে নিম্নোক্ত রুক‌ইয়াহ সেট পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে পানি রেডি করতে হবে । রুক‌ইয়াহ সেট এই–


  • ১। দুরুদ শরীফ
    ২। সূরা ফাতিহা
    ৩। তিন কুল (সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস)
    ৪। আয়াতুল কুরসী
    ৫। সূরা আ’রাফ— ১১৭ থেকে ১২২ নং আয়াত
    ৬। সূরা ইউনূস— ৮১ ও ৮২ নং আয়াত
    ৭। সূরা ত্বহা— ৬৯ নং আয়াত
    ৮। দুরুদ শরীফ

উপরোক্ত রুকইয়াহ সেট তিনবার, সাতবার বা সময়ের বিচেনায় কমবেশি যত সংখ্যকবার সম্ভব পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে তাবিজগুলো তাতে ভিজিয়ে রাখবে ।‌ এতটুকু সময় ভিজিয়ে রাখবে যাতে করে কাগজের লেখাগুলো ওঠা নিশ্চিত হয় । দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পরেও লেখা না উঠলে গ্লাভস পড়ে বা পলিথিন পেঁচিয়ে ঘষে ঘষে লেখাগুলো তুলে ফেলবে। খোদাই বা অংকন করা যাদু হলে ঘষে বা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তা নষ্ট করে ফেলবে। অতঃপর পানিসহ উক্ত তাবিজ বা যাদুর বস্তু পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দিবে ।

বিঃদ্রঃ একান্ত সবগুলো আয়াত পড়তে না পারলে কমপক্ষে ৩ বার সূরা ফালাক এবং তিন বার সূরা নাস পাঠ করে পানি রেডি করবে।

error: Content is protected !!