ডানাওয়ালা জ্বীন ধ্বংসের রুকইয়াহ

ডানাওয়ালা জ্বীন ধ্বংসের রুকইয়াহ :

হাদীসের ভাষ্যমতে জ্বীনের একটি প্রকার রয়েছে, যারা ডানাবিশিষ্ট। সহজে বুঝার জন্য বলা যেতে পারে—পাখি জ্বীন। ডানাওয়ালা বা পাখির আরবী শব্দ— তাইয়্যার বা তাইর। ডানাওয়ালা জ্বীনগুলো অন্যান্য জ্বীনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আশিক জ্বীন হয়। এবং রুকইয়াহ করা হলেও এরা খুব সহজে এক্সপোজ করে না। বা রোগীর মধ্যে রুকইয়াহর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায় না। কারণ, প্রথমত : অন্যান্য জ্বীনদের তুলনায় ডানাওয়ালা জ্বীনের আযাব সহ্য করার ক্ষমতা বেশি। দ্বিতীয়ত : এরা শরীরের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকতে খুব বেশি পারদর্শী। আর এ কারণেই রুকইয়াহ করার পরেও এরা খুব সহজেই শরীরে প্রকাশ পায় না বা হাজির হয় না।

অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা কাজ করে যে, ডানাওয়ালা জ্বীন রুকইয়াহ চলাকালীন সময়ে পাখির মতো ফুরুত করে শরীর থেকে বের হয়ে যায়, রুকইয়াহ শেষ হলে পুনরায় প্রবেশ করে। এই ধারণা মূলত সঠিক নয়। রুকইয়াহ করা হলেও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায় না বিধায় অনেকের মনে হয়ত এ ধারণা জন্মেছে। মূলত ঘাপটি মেরে থাকার ক্ষমতা এবং তুলনামূলক বেশি সহ্য ক্ষমতার কারণেই তারা রুকইয়াহ করা সত্ত্বেও প্রকাশ না পেয়ে লুকিয়ে থাকতে পারে। এবং অনেক সময় কবিরাজ বা যাদুকর ডানাওয়ালা জ্বীনকে শরীরের সাথে বেঁধে দিয়ে থাকে, এ কারণেও এরা যেতে পারে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ডানাওয়ালা জ্বীনের রুকইয়াহর পাশাপাশি বেশি বেশি গিঁট নষ্টের রুকইয়াহও শোনা উচিত।

error: Content is protected !!