যাদুর গিঁট

(বলুন!) এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই, যাদুর গিঁটে ফুৎকারকারিণীদের অকল্যাণ থেকে । সূরা ফালাক— ৪।

মাসের পর মাস রুকইয়াহ করেও যাদের শরীর থেকে জ্বীন বের হচ্ছে না, পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভব হয়, বা এমনিতে ব্যথা অনুভব না হলেও ম্যাসেজ করলে কোন কোন জায়গায় অসহনীয় ব্যথা লাগে, বুঝতে হবে— আপনার শরীরে যাদুর গিঁট রয়েছে ।  যতক্ষণ না উক্ত বাঁধন বা গিঁট খুলতে পারবেন, জ্বীন শয়তানকে বের হতে বাধ্য করতে পারবেন না । বা অনেক ক্ষেত্রে জ্বীন চাইলেও বের হতে পারবেনা ।

গিঁট মূলত কেন দেয়?

গিঁট দেয়া যাদুর একটি গরুত্বপূর্ণ অংশ । যাদুকর যাদু করার পরে যাদুর বস্তুতে গিঁট দিয়ে তাতে মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে দেয় । তেমনি রোগীর শরীরে জ্বীন চালান করেও যাদুর গিঁট দিয়ে দেয়, যেন শাস্তির সম্মুখীন হয়ে জ্বীন চাইলেও রোগীর শরীর থেকে পালাতে না পারে । কখনো আবার রোগীর শরীরে প্রবেশ করার পরে জ্বীন নিজেই যাদুর গিঁট দিয়ে নিজের অবস্থানকে শক্ত করে । যেন যাদুর বেষ্টনীর মধ্যে থেকে রোগীর আমল ও রুকইয়া’র প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারে । যে কারনে গিঁট নষ্ট করা ছাড়া দীর্ঘ রুকইয়াতেও অনেক সময় এ ধরনের জ্বীনের তেমন কষ্ট হয়না ।

গিঁট সাধারণত কোথায় কোথায় দেয়?

গিঁট থাকলে শরীরে কী কী লক্ষণ প্রকাশ পেতে পায়?

রোগীদের করণীয় কী?

এ ধরনের রোগীরা উঠতে, বসতে, খাইতে, ঘুমাতে এক কথায় সারাদিনে যত বেশি বার সম্ভব হয় “সূরা ফালাক” তিলাওয়াত করবেন । তিলাওয়াতের পূর্বে এভাবে নিয়ত করবেন— ইয়া আল্লাহ! আমার শরীর থেকে সকল প্রকারের যাদুর বাঁধন ও গিঁটগুলো খুলে দিন । বিশেষ করে সূরাটির ৪নং আয়াত তিলাওয়াতকালে অর্থের দিকে ফোকাস দিবেন। এবং আয়াতটিকে বারবার রিপিট করবেন । সুযোগ থাকলে শরীর ম্যাসেজ করবেন এবং পড়বেন । বা অন্য কেহ পড়ে পড়ে ফুঁ দিবে এবং ম্যাসেজ করবে । অথবা গিঁট নষ্ট করার রুকইয়াহ  শুনবেন এবং অন্য কারো ম্যাসেজ নিবেন ।

error: Content is protected !!