১। তার জন্য বদ দোয়া করলে ।
২। জ্বীন যে কারণে শরীরে প্রবেশ করেছে সে সংক্রান্ত আয়াত বা দোয়া তিলাওয়াত করলে । যেমন— বদনজর, হিংসা, যাদু, জুলুম ও ইশক ইত্যাদি।
৩। জ্বীন রোগীর শরীরে প্রবেশ করে যে উদ্দেশ্যে সাধন করতে চাইছে— সে সংক্রান্ত আয়াত বা দোয়া পাঠ করলে । যেমন— বিচ্ছেদ করানো, বিবাহ বন্ধ করা, লেখাপড়া বা ক্যারিয়ারে বাঁধা হওয়া ইত্যাদি ।
পাশাপাশি সে যে উদ্দেশ্যে শরীরে প্রবেশ করেছে তার বিপরীত বিষয়ের আয়াত তিলাওয়াত করলে । যেমন— স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ করানোর উদ্দেশ্যে উভয়ের কোন একজনকে জ্বীন পজেসড করে থাকলে; সে জ্বীনকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে আপনি এমন সব আয়াত পড়তে পারেন— যার মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে মহব্বত পয়দা হয়—এতে জ্বীনটি মারাত্মক কষ্ট পাবে ।
৪। এমন সব আয়াত তিলাওয়াত করলেও জ্বীন বেশ কষ্ট পাবে যেখানে জ্বীনের সৃষ্টিগত ধরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । যেমন— কুকুর, পাখি, সাপ ।
আসহাবে কাহাফের কুকুর নিয়ে যে আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে কুকুর জ্বীনের জন্য আপনি সে আয়াতটিসহ কুকুর সংক্রান্ত অন্যান্য আয়াতগুলো পড়তে পারেন । মূসা (আ.) এর এর লাঠি এবং যাদুকরদের লাঠি সাপ হয়ে যাওয়ার ঘটনা যে সকল আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে—সাপ জ্বীনের ক্ষেত্রে আপনি সে আয়াতগুলো পড়তে পারেন । পাখি জ্বীনের জন্য সূরা ফিলসহ অন্যান্য যে সকল আয়াতে পাখি এবং উড়াউড়ি নিয়ে আলোচনা এসেছে সে আয়াতগুলো পড়তে পারেন ।
৫। শয়তান, ইবলিস ও জ্বীনকে সম্বোধন করা হয়েছে—এমন সব আয়াত পড়লেও জ্বীন বেশ কষ্ট পায় । পাশাপাশি জালিম, অপরাধী, জাহান্নামী এবং এদের জন্য প্রস্তুতকৃত জাহান্নামের শাস্তি বিষয়ক আয়াত পড়লেও শয়তানগুলোর বেশ কষ্ট হয় ।
৬। রুকইয়াহ চলাকালীন রুকইয়াহকৃত পানি রোগীর শরীরে ছিটিয়ে দিলেও শয়তানগুলোর মারাত্মক লেভেলের কষ্ট হয় । সেটা যদি ঠাণ্ডা পানি হয়—কষ্টের মাত্রা আরো বেড়ে যায় ।
৭। জ্বীন যে ধর্মে বিশ্বাসী তার সামনে সে সংক্রান্ত আয়াত তিলাওয়াত করলেও সে বেশ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে ।