বন্ধ্যাত্ব বা গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদু

বন্ধ্যাত্বের রোগ পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে । বন্ধ্যাত্ব দুই প্রকার– এক. সৃষ্টিগত স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব । যার চিকিৎসা সম্ভব নয় । দুই. কোনো রোগের কারণে সৃষ্ট অস্থায়ী বন্ধ্যাত্ব । এই প্রকার বন্ধ্যাত্বের অবশ্যই চিকিৎিসা সম্ভব ।

পুরুষ হোক বা নারী উভয়েই দুই কারণে অস্থায়ী বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারে । এক. শারীরিক অসুস্থতার জন্য । দুই. শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সত্ত্বেও জিন-যাদুর কারণেও বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারে ।

পুরুষের অস্থায়ী বন্ধ্যাত্ব

সন্তান জন্মদানে সক্ষম হওয়ার জন্য পুরুষের এক মিলিলিটার বীর্যে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি শুক্রানু বিদ্যমান থাকা আবশ্যক । বীর্যে এই শুক্রানু নিক্ষেপিত হয় অণ্ডকোষ থেকে । অণ্ডকোষে চাপ সৃষ্টি করে বা অন্য কোনো পন্থায় ‘জিন’ বীর্যে আবশ্যকীয় পরিমাণ শুক্রানুর মিশ্রণ হতে দেয় না । ফলে বীর্য সন্তান জন্মদানের যোগ্যতা হারায় ।

শুক্রানুগুলো অণ্ডকোষ থেকে বীর্যথলির দিকে স্থানান্তরিত হওয়ার সময় জীবিত থাকার জন্য এক প্রকার লালাজাতীয় পিচ্ছিল প্রবাহবান বস্তুর প্রয়োজন হয় যা গোশত থেকে প্রবাহিত হয় ।

কখনো আবার এমন হয় যে, জিন সেই প্রবাহমান পিচ্ছিল পদার্থকে শুক্রানু মিশ্রিত বীর্যের কাছে যেতে বাধা সৃষ্টি করে । যার ফলে বীর্যের শুক্রানুগুলো খাবার না খেয়ে মারা যায় । আর আবশ্যকীয় পরিমাণ শুক্রানু না থাকায় বীর্য তার সন্তান জন্মদানের যোগ্যতা হারায় ।

error: Content is protected !!