মুসলমান কখনো মিথ্যা অঙ্গিকার করতে পারেনা । তার মুখের প্রতিটি বচনই একেকটি অঙ্গিকার । আর কৃত অঙ্গিকার ভঙ্গ করা কোন ব্যক্তিত্ববান মুসলামনের জন্য শোভনীয় নয় ।
মুসলমানের প্রতিটি কথাই এমনিতেই গুরুত্বপূর্ণ । তথাপি সে কথার আরো গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার জন্য ক্ষেত্রবিশেষ আমরা আল্লাহর নামে কসম খেয়ে থাকি । আল্লাহর নামে কসম খাওয়া মানে হচ্ছে, আমি আমার সবচেয়ে আপন ও আমার কাছে সবচেয়ে বেশি সম্মানের অধিকারী সত্ত্বার সম্মান ও মহব্বতের সাথে বিষয়টিকে সম্পৃক্ত করে ফেললাম । সুতরাং আল্লাহর নামে কসম খাওয়ার পরে সে কসম রক্ষার প্রাণপন চেষ্টা করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব । যে কারণে আল্লাহর নামে কৃত কসম ভঙ্গ করা মারাত্মক কবিরা গুনাহ। আল্লাহর নামের ইজ্জত-সম্মান নষ্ট করার গুনাহ।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) কসমের কাফফারা হল দশজন মিসকীনকে মধ্যম ধরনের খাবার দিবে। যা তোমরা তোমাদের পরিবারবর্গকে খাইয়ে থাক। অথবা তাদেরকে বস্ত্র দান করবে কিংবা একজন গোলাম আযাদ করবে। তরে কারো কাছে যদি (এসব জিনিসের মধ্য হতে) কিছুই না থাকে তবে সে তিন দিন রোযা রাখবে।-সূরা মায়েদা : ৮৯
উল্লেখ্য, কথায় কথায় কসম করা, বিনা প্রয়োজনে কসম করা এ সবকিছুই ঠিক নয়। আর কসম করার প্রয়োজন দেখা দিলে শুধু আল্লাহর নামেই কসম করবে। অন্য কারো বা কিছুর নামে কসম করা জায়েয নয়। হাদীসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জেনে রাখ, আল্লাহ তোমাদের নিজের পিতার নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। যদি কসম করতেই হয় তবে যেন আল্লাহ্র নামেই কসম করে। নতুবা চুপ করে থাকে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬৪৬)
কসম বা বিনা কসমের যেকোন অঙ্গিকার পূরণে আমাদের আরো যত্নবান হওয়া উচিত । আল্লাহ পাক তাওফীক দান করুন ।

You must be logged in to post a comment.